কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - কলা খাওয়ার নিয়ম

কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব। সাধারণত কলা আমরা অনেকেই চিনি এবং কলা খেয়ে থাকি এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী সব মানুষই কলা খেতে খুব ভালোবাসে অনেকের বাসায় ফল হিসেবে কলা রয়েছে।

কলা এমন একটি ফল যে মানুষের পছন্দ নয় কলা যেমন উপকারিতা পাওয়া যায়। তেমনি আমরা বলতে পারি এই উপকারিতা পাওয়ার জন্য অনেকেই আমরা কলা খেয়ে থাকি শুধু উপকারিতা হিসেবে নয় তার অনেক কাজও থাকে।

পেজ সূচিপএঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সংক্রান্ত সবকিছু

কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা খাওয়ার উপকারিতা কলা পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় ফল কলা খেতে আমরা কেনা পছন্দ করি। পৃথিবীর অনেক মানুষের রয়েছে কলা খেতে পছন্দ করে। এবং খাবারের ডায়েটের সময় তারা কলা রেখে দেন কলা পুষ্টিগুলো রয়েছে। সে পুষ্টিগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই অত্যন্ত ও কার্যকরী শরীর সুস্থ রাখতে কলা খেতে আপনি পারেন।

কলাতে রয়েছে ভিটামিন কোন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের অনেকটাই উপকারী রয়েছে। প্রচুর পুষ্টির উপাদান মাজারের সাইজের হলেও কলার প্রায় ১০৫ ক্যালোরি ২৭ কাকোর্বনহাইড্রেট ৩ গ্রাম ফাইবার ১ গ্রাম প্রোটিন এবং ১৪ গ্রাম থাকে। আমরা অনেকেই এটাও জানি কলাতে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে। ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না আমাদের কলা সবারই চেনা জানা। কলা খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করারও উপকার রয়েছে। সকালের ব্রেকফাস্ট এর জন্য কলা সবাই খেয়ে থাকে। ব্রেকফাস্টে সময় যদি আমরা কলা খায় তাহলে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এ বিষয়টি অনেকের কাছে অজানা।

কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা খাওয়ার উপকারিতা আপনি কি জানেন কলা খাওয়ার অপকারিতা ও রয়েছে যদি আপনার অতিরিক্ত ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে আপনি কলা থেকে বিরত থাকেন। কলা আপনার জন্য সেই সময়টা উপকারিতা নয় বরঞ্চ অপকারিতা হয়ে যাবে। যদি আপনার অতিরিক্ত ঠান্ডা লেগে থাকে। তাহলে আপনি কলা খেলে সেক্ষেত্রে আপনার ঠান্ডা আরো বেড়ে যেতে পারে।

অনিন্দার সমস্যা হতে পারে রাতে বেলা কলা না খাওয়াই ভালো। ঠান্ডা লাগার অবস্থায় যদি আপনি কলা খান তাহলে সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা লাগার ভাবটা বেশি বেড়ে যাবে। তখন আপনি অতিরিক্ত অসুস্থ হতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে সাবধানে থাকতে হবে ঠান্ডা লাগার অবস্থায় আপনি কলা না খাওয়াই ভালো অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে।

  • কলা খাওয়ার অপকারিতা অনিদ্রার সমস্যা হতে পারে
  • রাতের বেলা কলা না খাও সবচাইতে ভালো
  • ঠান্ডা লেগে থাকলে কলা থেকে বিরত থাকা ভালো
  • শিশুদের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে
  • খুব বেশি কলা খেলে আমাদের ওজন বাড়তে পারে

চুলের যত্নে কলার খোসা

চুলের যত্নে কলার খোসা আপনি কি জানেন চুলের যত্নে করার খোসা কতটা উপকারী। আমরা কিন্তু অনেকেই কমবেশি জানি  চুলের যত্নে কলার খোসা কতটুকু উপকারী সে সম্পর্কে যদি আপনার কোন ধারণা না থাকে। তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা আলোচনা করব কলার খোসা দিয়ে চুলের যত্নে কিভাবে নেওয়া যায়।

কলার খোসার মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টি সাধারণত এগুলো আমাদের দেহ এবং ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি কলা খেলে আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কিছু কিছু জটিল রোগ রয়েছে তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কলা খেলে তেমনি কলার খোসা আমাদের চুলের জন্য খুব উপকারী চুল পড়া বন্ধ করতে পারে।

চুলের যত্নে কলার খোসা যদি আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নিতে চান তাহলে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না মাথা যদি আপনার চুল পড়ে যায় চুল না গজায় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি কলার খোসা পেস্ট বানিয়ে তা চুলের ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার চুল পড়া কমে যাবে।

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা

কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা কলা খাওয়া যেমন উপকারিতা করার খোসা দিয়ে যেমন চুলের যত্নে উপকার পাওয়া যায়। তেমনি কলার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। আপনি যদি কলার খোসা পেস্ট বানিয়ে তার সাথে লেবুর রস এবং কফি পাউডার মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আপনার জন্য অনেকটাই ভালো। কেননা মুখের যত যাবতীয় সমস্যা আছে সমাধান করে দিতে পারে।

চলার খোসা যদি আপনি রূপচর্চায় ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মুখে যাবতীয় সমস্যা দূর করে দিবে। রূপচর্চায় অনেকেই কলার খোসা ব্যবহার করে থাকেন এতে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ে ছোট ছোট দানা থাকলে তা ভালো করে দিতে পারে সহজে করার খোসা দিয়ে রূপচর্চা করলে তা উপকার পাওয়া যায়। কেটে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে।

আর খোসা দিয়ে রূপচর্চা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে কলার খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি কলার খোসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টির উপাদান। সাধারণত এটি আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে কলার খোসা ব্যবহার করতে পারেন রূপচর্চার জন্য এতে আপনার উপকারিতাই হবে।

কলার খোসার উপকারিতা

কলার খোসার উপকারিতা রয়েছে আমরা নানা রকম কাজ করতে পারি। কলার খোসা আমাদের জন্য খুবই অত্যন্ত কার্যকরী । কলার খোসা যেমন আমাদের চুলের জন্য কার্যকর তেমনি আমাদের মুখের জন্য ভালো চুল গজানো থেকে শুরু করে চুলের যাবতীয় যত সমস্যা দূর করে থাকে কলার খোসা দিয়ে উপকারিতা পাওয়া যায়।

 কলার খোসার উপকারিতা কার না প্রয়োজন সবারই প্রয়োজন পড়ে কলা যেমন খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তেমনি আমাদের কলার খোসা প্রয়োজন পড়ে কলার খোসা দিয়ে আমরা পেস্ট বানিয়ে তা মুখে ব্যবহার করতে পারি। এবং কলার খোসা আমরা চুলে ব্যবহার করতে পারি চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে।

কলার খোসার ব্যবহার

কলার খোসার ব্যবহার কলার খোসার ব্যবহার সম্পর্কে জেনেছি। আপনি কি কলা খোসার ব্যবহার সম্পর্কে জানেন করা হচ্ছে খুব সুস্বাদু একটি পুষ্টিগুণ ভরপুর একটি ফল। সেটা আমরা অনেকেই জানি কলা খাওয়ার পর কলার খোসা আমরা ফেলে দিই। তবে খোসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টির উপাদান এগুলো বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে।

 আরো পড়ুনঃ চালতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মুখের দাগ দূর করতে সাহায্য করেঃ কলার খোসার ব্যবহারে মুখের দাগ যদি থাকে আপনার তাহলে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ছোট ছোট দাগ থাকলে মুখের ব্রণ থাকলে তা সমাধান করে এবং মুখটাকে উজ্জ্বলতা করে। একটা নির্দিষ্ট বয়স হলে আমাদের মুখে ব্রণ হয়ে থাকে সেটা ভালো করতে পারেন বলার খোসার ব্যবহারে

বলিলেখা দূর করে কলার খোসাঃ একটা নির্দিষ্ট কলার খোসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টির উপাদান। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাধারণ মুখের বলিরেখাও দূর করতে সাহায্য করে। মুখের যাবতীয় সমস্যা থাকলে আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারি না। কলার খোসার ব্যবহারে মুখের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।

কলার খোসার ব্যবহারে দাঁত পরিষ্কার করেঃ যদি আপনার দাঁত হলদে ভাব হয়ে যায়। তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি কলার খোসা দাঁতের ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার দাঁত পরিষ্কার হয়ে যাবে অনেক সময় ব্রাশ করার পরও আমাদের দাঁত পরিষ্কার হতে চাই না অপরিষ্কার থেকে যায়। তাই আপনি করার খোসা দাঁতের ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দাঁত আপনার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।

কলার ক্ষতিকর দিক

কলার ক্ষতিকর দিক অনেকেই জানেন না কলার ক্ষতিকর দিকগুলো লোভে পড়ে অনেক কলা খাচ্ছেন তাহলে বিপদে পড়তে পারেন মাঝারি মাপের একটি পাকা কলায় ১০৫ ক্যালোরি শক্তি থাকে তাই বেশি কলা খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবণ কারো যদি মাইক্রো গ্রেনে সমস্যা থাকে তাহলে তাদের যতটা সম্ভব কলা এড়িয়ে চলা

ক্লান্তি পাকা কলাতে এমনও এসিড থাকে ক্রান্তি আসে এবং সব সময় ঘুম পায় যে সমস্যা থাকলে কলা বেশি খেয়ে থাকলে ঠোঁট ফুলে যায় গলা জ্বালা করে চাঁদের শ্বাস কষ্টের সমস্যা রয়েছে তারা কলা এড়িয়ে চলায় সবচাইতে ভালো অতিরিক্ত পেট ব্যথা করলে সে ক্ষেত্রে যদি কলা খান তাহলে পেট ব্যথা আরো বাড়তে পারে

কলার ক্ষতিকর দিক আরো রয়েছে যদি আপনার গ্যাসের সমস্যা থাকে। তাহলে অতিরিক্ত কলা না খাওয়াই ভালো ডায়াবেটিস থাকলে পরে পরিমাণ বেশি থাকায় অত্যাধিক মাত্রায় কলা খেলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা থাকে। যেমন ঠান্ডা লাগে তেমনি ঠান্ডা লাগায় অবস্থায় কলা খেলে তার ক্ষতি করে দিকগুলা দেখা দেয়।

পাকা কলা দিয়ে ফেসপেক

পাকা কলা দিয়ে ফেসপেক অনেকে জানেন না পাকা কলা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। কিন্তু মজার বিষয় হল পাকা কলা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা খুবই সহজ। শুধু আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আমরা সাধারণত আমাদের উজ্জ্বলতা বাড়ার জন্য কত কিনা ব্যবহার করে থাকি কিন্তু পাকা কলা দিয়ে ফেসপ্যাক ব্যবহার করে তা মুখে ব্যবহার করলে কতটা উপকারী।

পাকা কলা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হলে আপনাকে একটি পাকা কলা নিতে হবে খেয়াল রাখতে হবে যেন পচা না থাকে। ভালোভাবে কলা খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে কলাটাকে ভালো করে পেস্ট করে তার ভিতরে দুধ মিশাতে পারে ।তার সাথে লেবু মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণটি তৈরি করতে করতে খুব বেশি সময় লাগে না।

কলার মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ

কলার মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ আমাদের দেশের সবচাইতে পরিচিত ফলগুলোর তালিকা শীর্ষে কলা সুস্বাদুয়া পুষ্টি কর ফলটি। কলাতে থাকা ক্যালরী ও চিনির বিষয়ে অনেকেরই ধারণা কম পটাশিয়াম পরিপূর্ণ কলাতে। পটাশিয়াম উপাদানের জন্য পরিচিত। প্রতিরোধ চাস আমাদের শরীরে একটি অন্যান্য ধরনের কাবোহাইড্রেট সরবরাহ করে থাকে।

অনেক বাচ্চা রয়েছে কলা একটা থেকে দুইটা তিনটা খেয়ে থাকে ।কিন্তু কলার যে পুষ্টিটা আমাদের শরীরের জন্য কার্যকরী এটা বাচ্চারা বেশি পছন্দ করে থাকেন এবং কলাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইবার কলা খেলে শক্তি বাড়ে। আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে কলা মেজাজ ভালো রাখে কলা কিডনি সুস্থ রাখে।

 লেখক এর শেষ মন্তব্য

কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে লেখা আজকের এই আর্টিকেল থেকে সমস্ত বিষয়গুলো আপনি বুঝতে পেরেছেন বলে আশা করছি আপনি যদি কলা খাওয়ার উপকারিতা পেতে চান। তাহলে আপনাকে নিয়ম অনুযায়ী কলা খেতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে আশা করি আপনার এই আর্টিকেল থেকে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি নিয়মিত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে চান তাহলে আপনাকে আমাদের ওয়েবসাইটে ফলো করতে হবে। আশা করি আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এ ধরনের তথ্য নিয়মিত পাবেন। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থ কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি সুস্থ থাকবে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url